ওয়েব ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি’র ২৫তম আসর। এ আয়োজন চলবে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুলাইজার।’ বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইনেও এ সম্মেলনে যুক্ত হওয়া যাবে।
‘ডব্লিউসিআইটি ২০২১’ সম্মেলনের একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অ্যাসোসিও ‘ডিজিটাল সামিট ২০২১’। অনুষ্ঠানটি ফিজিক্যাল এবং ভার্চুয়াল এর সমন্বয় হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হবে।
দ্য ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) এর উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। এ আয়োজনের পার্টনার হিসেবে আছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ (সিসিএ), ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, এটুআই, এলআইসিটি, বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাব এবং আইএসপিএবি, বিআইজেএফ ও টিএমজিবি।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের প্লাটিনাম স্পন্সর ওয়ালটন, গোল্ড স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্রোঞ্জ স্পন্সর হুয়াওয়ে, জনতা ব্যাংক, মিনিস্টার টিভি এবং থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেমস। এছাড়া ইন্টারনেট পার্টনার আমরা টেকনোলজি লিমিটেড।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘সংবাদ সম্মেলনে’ এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান ৪ দিনব্যাপী এ সম্মেলনে থাকছে সেমিনার, মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স, বিটুবি সেশন। অনলাইনে নিবন্ধিত হয়ে এই সেমিনারগুলোতে অংশ নেয়া যাবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো আবদুল হামিদ আজ দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি)-এ বিশ্ব সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন।
প্রথম দিনে মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্সে কি-নোট স্পীকার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। এছাড়াও ফিজিক্যালি এবং ভার্চুয়ালি দেশি ও বিদেশি মন্ত্রীরা যুক্ত থাকবেন।
১২ নভেম্বর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাধীন সর্বোভৌম রাষ্ট্র ও তথ্য প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত উদ্যোগসমূহ উপস্থাপন করা হবে। এ দিনে ‘অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
১৩ নভেম্বর, সন্ধ্যায় সারা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠানের সমাপনী দিন। এদিন ডব্লিউসিআইটি এর রজত জয়ন্তী উদযাপিত হবে। ৪ দিনব্যাপী এ বিশ্ব সম্মেলনের বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন সারাবিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এবার গ্রামের প্রত্যেকটি স্কুল ও সরকারি অফিসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করা হবে। দুর্গম দ্বীপে সব ধরনের প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন বিগত ১৩ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের যে অর্জন তা এই সম্মেলনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ঐতিহাসিক রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন, সেটি ছিল ২০২১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে তখন বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট, সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুদক্ষ নেতৃত্বে মাত্র ১২ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে।
সম্মেলনটির বিভিন্ন অংশ উপভোগ করার জন্য অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর ও আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে WCIT 2021 নামের অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে। তবে ব্যবহারের পূর্বে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এছাড়াও www.wcit2021.com.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভার্চুয়ালি সম্মেলন ও প্রদর্শনী ঘুরে আসা যাবে। ফিজিক্যাল এবং অনলাইন রেজিস্ট্রেশন-সহ ডব্লিউসিআইটি সম্মেলনের যাবতীয় তথ্য www.wcit2021.org.bd ওয়েবসাইটটিতে পাওয়া যাবে।